দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সদ্য চাকরিচ্যুত উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনের চাকরি ফেরত চেয়ে রিটের শুনানি মঙ্গলবার (১৫ মার্চ) হওয়ার কথা রয়েছে।
সোমবার (১৪ মার্চ) আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। শরীফ উদ্দিনের পক্ষে ব্যারিস্টার মিয়া মোহাম্মদ ইশতিয়াক রোববার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় রিটটি করেন।
জানা গেছে, গত ১৬ ফেব্রুয়ারি কোনো ধরনের কারণ দর্শানো নোটিশ ছাড়াই প্রজ্ঞাপন জারি করে দুদক কর্মচারী চাকরি বিধিমালা ২০০৮-এর ৫৪(২) ধারায় শরীফকে অপসারণ করে কমিশন। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি চাকরি ফেরত চেয়ে কমিশনের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদনপত্র জমা দেন শরীফ। আবেদন জমা দেওয়ার পর কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের আশ্বাস না পেয়ে অবশেষে চাকরি ফেরত চেয়ে উচ্চ আদালতের শরণাপন্ন হন দুদকের সাবেক এ কর্মকর্তা।
জানা গেছে, শরীফ উদ্দিনকে কোনোরূপ আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়ে অপসারণের বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চেয়ে ১০ আইনজীবীর করা রিটটি আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে ১৫ মার্চ। ১০ মার্চ বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ দিন ধার্য করেন। ২৩ ফেব্রুয়ারি ১০ আইনজীবীর পক্ষে অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শিশির মনির রিট আবেদনটি করেন।
রিট আবেদনকারী অন্য নয় আইনজীবী হলেন রেজওয়ানা ফেরদৌস, জামিলুর রহমান খান, উত্তম কুমার বণিক, মোস্তাফিজুর রহমান, মো. তারেকুল ইসলাম, মীর ওসমান বিন নাসিম, সৈয়দ মোহাম্মদ রায়হান, মো. সাইফুল ইসলাম ও মোহাম্মদ নওয়াব আলী।
প্রসঙ্গত দুদক উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণের বিষয়টি গত ২২ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের নজরে আনেন আইনজীবী শিশির মনির।
এর আগে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে অপসারণসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি হয়। দুদকের পরিচালক (প্রশাসন ও মানবসম্পদ) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বকাউল স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
মো. শরীফ উদ্দিনের বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম-দুর্নীতিতে সম্পৃক্ততার ১৩ অভিযোগ বিষয়ে দুদক সচিব জানান। মো. শরীফ উদ্দিন দুদক চট্টগ্রাম সমন্বিত কার্যালয়ে কর্মরত থাকাকালীন নানান অনিয়ম ও দুর্নীতিতে সম্পৃক্ত ছিলেন বলে গণমাধ্যমে প্রতিবেদন এসেছে। তা ছাড়া তার বিরুদ্ধে অনেক ভুক্তভোগী দুদকে লিখিত অভিযোগ করেছেন। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট ১৩টি অভিযোগ প্রকাশ করেছে দুদক।
পাশাপাশি দুদক কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন মামলায় শরীফ উদ্দিনের তদন্ত কার্যক্রম নিয়ে ইতিবাচক প্রতিবেদনও প্রকাশ করেছে অনেক গণমাধ্যম।
আর চাকরি অপসারণসংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, দুর্নীতি দমন কমিশন (কর্মচারী) চাকরি বিধিমালা, ২০০৮-এর বিধি ৫৪(২)-তে প্রদত্ত ক্ষমতাবলে পটুয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো।
তিনি বিধি অনুযায়ী ৯০ দিনের বেতন এবং প্রযোজ্য সুযোগ-সুবিধা (যদি থাকে) পাবেন। কমিশনের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।